Description
বাঙলা বিহারের সীমানায় উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ শহরে কৈশোর কাটানো এক প্রৌঢ়ের প্রচেষ্টা “বাঙালীর চলার পথে (বিহার ও ঝাড়খন্ড )”। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়নে স্নাতক ও প্রাণ রসায়নে স্নাতকোত্তর অনিরূদ্ধ ঘোষ এক বহুজাতিক সংস্থার উৎপাদন স্থলের প্রধান আধিকারিক হিসাবে অবসর নিয়ে বৃহত্তর বিহারের (বিহার ও ঝাড়খন্ড) বাঙালীদের গৌরবময় অতীত ও বর্তমানের ছবিকে এক জায়গায় লিপিবদ্ধ করার চেষ্টা করেছেন। তার সেই প্রয়াসেরই ফলস্বরূপ এই বই। কর্মকান্ডের শুরু ১০ই আগস্ট ২০১৯, মধ্যে কোভিডের প্রভাবে তার প্রচেষ্টা বিলম্বিত হয়েছে কিন্তূ থেমে থাকেনি, অবশেষে ধৈর্য্যের জয় হয়েছে। ইতিহাস অবলম্বন করে জানা তথ্যের সঙ্কলন হিসাবে বইটি পাঠক মহলে সুবিচার পাবার দাবী রাখে।
বিহার ও ঝাড়খণ্ডের বাঙালীদের শহর ভিত্তিক কাহিনী কে এক ছাদের তলায় নিয়ে আসার প্রচেষ্টার নাম “বাঙালীর চলার পথে (বিহার ও ঝাড়খন্ড)”। ১৯১২ সালে বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি থেকে কিছু অংশ কেটে নিয়ে বিহার প্রদেশ তৈরি হয়। পরে এই প্রদেশের অংশ বিশেষ উড়িষ্যার অন্তর্গত হয়, পড়ে থাকা অংশ আজকের বিহার ও ঝাড়খণ্ড। যুগ যুগ ধরে বসবাসকারী এই অঞ্চলের বাঙালীরা বিহার প্রদেশ গঠনের সময় বাঙালী থেকে প্রবাসী বাঙালীতে পরিবর্তিত হয় এবং এখন ভাষাগত সংখ্যালঘু জাতি হিসাবে স্বীকৃত। জনপদ গুলির উন্নয়নে বাঙালিদের অবদান, জন্মসূত্রে বা কর্মসূত্রে শহর গুলির সঙ্গে জড়িত বরেণ্য বাঙালীদের বিবরণ এবং নিজেদের কৃষ্টি ও সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য বাঙালী সংগঠন গুলির চেষ্টা লিপিবদ্ধ হয়েছে বইটিতে যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে গর্ববোধের দলিল হিসাবে গন্য হবে।
Reviews
There are no reviews yet.