Description
আজকের চট-জলদি ব্যস্ত জীবনে পাঠকদের গল্প পড়ার অভ্যেস বদলেছে। স্থির হয়ে বসে বড় গল্প পড়ার জন্য হাতে সময়ের বড় অভাব। পরিবর্তিত সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে তাই অণু, পরমাণু-গল্পের ছড়াছড়ি। পাঠকরা সেসব ভালোভাবেই নিচ্ছেন। সে কথা মাথায় রেখে এই বইতে সংকলিত হল সেরকমই ছোট ছোট ছোটগল্প বা তাদের কিছু ক্ষুদ্রতর সংস্করণ। অবয়বে এগুলো ছোট হলেও, ভাবনায় তারা স্বয়ংসম্পূর্ণ।
‘পঁচাত্তর’ বইটি লেখকের প্রথম মুদ্রিত পুস্তক। এটি লেখকের পঁচাত্তরতম জন্মবার্ষিকীতে প্রকাশিত হল। এতে আছে ফেসবুকীয় স্টাইলে লেখা পঁচাত্তরটি ছোট বা অণুগল্প যা লেখক গত দশ পনেরো বছরে লিখেছেন। গল্পগুলোর বিষয়বস্তু লৌকিক, পারলৌকিক, প্রাকৃত, অতিপ্রাকৃত ঘটনাবলী যার সাক্ষী ছিলেন লেখক স্বয়ং। পঁচাত্তর বছরের দীর্ঘ জীবনে লেখক নানা ধরনের বিচিত্র এবং কৌতূহল উদ্রেককারী চরিত্রের মুখোমুখি হয়েছেন। জীবনের সেই সব ঘটনা, চরিত্রের ওপরে কিছুটা কল্পনার রঙ মিশিয়ে গল্পগুলো লেখা। এর কিছু কিছু লেখা আগে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায়, সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত এবং উচ্চ প্রশংসিত হয়েছে। এখন একটি পুস্তকের আকারে এই সংকলন বৃহত্তর পাঠক সমাজের সামনে রাখা হল।
সুদীপ রায়: জন্ম ১০ আগস্ট, ১৯৪৯, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গড়বেতা শহরে। বেড়ে ওঠা হুগলিতে। স্কুলের পড়াশোনা সেখানেই, হুগলি ব্রাঞ্চ গভর্নমেন্ট স্কুলে। শিবপুর বি.ই. কলেজ থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ স্নাতক ১৯৭০ সালে। চাকুরি জীবন কেটেছে উচ্চপদে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে, বড় শহরে, আধা শহরে, গ্রামে-গঞ্জে, প্রত্যন্ত অঞ্চলে। বিভিন্ন রাজ্যের, বিভিন্ন জাতের মানুষের সঙ্গে থেকে জীবনের গভীরতর অভিজ্ঞতার ভাণ্ডার হয়েছে পরিপূর্ণ। তার ছোঁয়া এসেছে লেখকের কলমে।
লেখার অভ্যেস সেই ছোটবেলা থেকেই কিন্তু সংরক্ষণের অভাবে সেসব লেখার প্রতিলিপি আজ আর লেখকের কাছে নেই। যা আছে সেগুলি সবই গত পনেরো বছরের লেখা; পেশা থেকে অবসর নেওয়ার পরের লেখা গল্প, কবিতা।
লেখাজোখার বাইরে লেখকের বহুবিধ শখ—স্কেচ আঁকা, ম্যাথস পাজল তৈরি করা এবং সমাধান, ক্যুইজিং, ভ্রমণ, ফটোগ্রাফি এবং অধুনা সঙ্গীতচর্চা। লেখকের স্ত্রী চন্দ্রিমা পদার্থ বিদ্যায় সাম্মানিক স্নাতক। আত্মভোলা স্বামীর সংসার সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করছেন তিনিই। কন্যা সুকন্যা পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে ইঞ্জিনিয়ার এবং এমবিএ, বিবাহের পরে বেঙ্গালুরুতে উচ্চপদে কর্মরতা।
Reviews
There are no reviews yet.