Description

তন্ত্র সাধনার এক অভিনব কৌশল তার বুননে পরিস্ফুটিত করেছেন সুরাজ সাপুই। চিন্ময়ের জবা তান্ত্রিকের সাথে আলাপ এবং একই বৃত্তে আলোড়ন এক গভীর বৃত্তের অনুতাপ সবই পরবাসী মনে হয়, যতক্ষণ না পাঠক আবিষ্ট সেই ধাঁধায় পা রাখে। টানটান রোমাঞ্চের বাঁধনে পাঠক বন্ধুদের ধরে রাখতে সক্ষম হয় জবা তান্ত্রিকের গল্প।

আমার পরিচিতি দেবার পূর্বে কিছু কথা আমি আপনাদের সাথে একটু ভাগ করেনিতে চাই। প্রথমেই বলে রাখি, আমি কোনো পেশাদারী লেখক নই। লেখার অভ্যাস আমার স্কুল জীবন থেকেই, সেই সূত্রেই যখনই ফাঁকা সময় পাই সেটা লেখা বা আমার আর একটা শক ছবি আঁকা দিয়ে পূর্ণ করি। তবে কর্ম জীবনে আসার পর থেকে ফাঁকা সময় টা আমার কাছে ব্যক্তিগত কর্মসংস্থার চাকুরিজীবি মানুষের ‘ইনসেন্টিভ’-এর মত হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমি পেশায় একজন গহনা নকশিকারক বা জুয়েলারী ডিজাইনার।কম্পিউটারের মাধ্যমে গহনার নিত্যনতুন নকশা তৈরি করি। তাই আপনাদের সকলের কাছে বিনীত অনুরোধ, আমার লেখায় কোনো রূপ ভুল ত্রুটি খুঁজে পেলে মার্জনা করবেন।

এবার আসি পরিচয় পর্বে-আমার নাম সুরাজ সাঁপুই। পদবি দেখে দয়া করে যেন আবার সাপুড়ে ভেবে বসবেন না, এই মাত্র আমি আপনাদের আমার পেশা সম্বন্ধে জানিয়েছি। আমার জন্ম ১৯৯৩ ক্রিস্টবর্ষের ২৪শে এপ্রিল শনিবার, যা বাংলার ১৪০০ সালের বৈশাখ মাসের অক্ষয়তৃতীয়ার দিন। আমার বর্তমান বাসস্থান হুগলি জেলার গরলগাছা গ্রামে। তবে আমার শৈশবের প্রথম দিকটা বাবার কর্মসূত্রে কাটে দেশের রাজধানী দিল্লীর গান্ধীনগর শহরে। পরে শৈশবের সমস্ত জীবনটা কাটে মামার বাড়ি কৃষ্ণরামপুর গ্রামে। সেখানে একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে আমার পড়াশোনা শুরু। আরো পরে বাবা মা রাজ্যে প্রত্যাবর্তন করলে পর আমি তাঁদের সাথে ফিরে আসি আমার বর্তমান বাসস্থানে।