Description
আফতাব হোসেন, জন্ম: ২৬, অক্টোবর, ১৯৬২; জন্মস্থান: মালোয়ার, নলছিটি, বরিশাল, বাংলাদেশ।পেশায় চিকিৎসক। শৈশব ও কৈশোর কেটেছে খুলনায়, খালিশপুরে। জীবনকে দেখেছেন অনেক কাছ থেকে। দেখেছেন দুঃখ, কষ্ট, রোগ, শোক, অভাব, অনটন। অসময়ে হারিয়েছেন পিতা সহ একান্ত কিছু প্রিয়জন। জীবনের তাগিদে ঘুরে বেড়িয়েছেন দেশ থেকে দেশান্তরে। ইরান, সৌদি আরব ঘুরে শেষে থিতু হয়েছিলেন ব্রিটেনে। নিয়েছেন চিকিৎসা বিজ্ঞানে সর্বোচ্চ ডিগ্রী। পেয়েছেন ব্রিটিশ নাগরিকত্ব। অর্জন করেছেন বিত্ত, বৈভব, ঐশ্বর্য। কিন্তু মনটা তাঁর ছন্নছাড়া বাউলের মতো। বিলেতের প্রাচুর্যে ভরা নিরাপদ জীবনও তাঁকে বেঁধে রাখতে পারেনি। সব ফেলে ফিরে এসেছেন বাংলাদেশে, শেকড়ের টানে, মাটির টানে, মাটির মানুষের টানে।কথা সাহিত্যিক আফতাব হোসেন জীবনের গল্প লেখেন। মানুষের গল্প লেখেন। নারী পুরুষের মনের টানাপোড়ন তাঁর কলমের বৈশিষ্ট্য। মানুষের মনজগতে তাঁর অবাধ বিচরণ। তাদের না বলা কথাগুলো তিনি বলে চলেন অপূর্ব দক্ষতায়। তাঁর লেখায় সেই সব মানুষেরা জীবন্ত হয়ে ওঠে। হাসে, কাঁদে, কথা কয়। পাঠকরা ভালোবেসে তাঁর নাম দিয়েছেন কথার জাদুকর। ভীষণ জনপ্রিয় এই কথাশিল্পী বাকি জীবনটা পাঠকের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে লেখালেখি করেই কাটাতে চান।
লাশের স্তূপের মধ্যে একটা লাশের দিকে চোখ যায় আলেকজান্ডারের। তিতুমীর। ঠোঁটে হাসিটা এখনও লেগে আছে। চোখ দুটি খোলা। স্থির তাকিয়ে আছে আলেকজান্ডারের দিকে। যেন হাসছে দেখে। সে হাসি তিরস্কারের নাকি তাচ্ছিল্যের, আলেকজান্ডার বুঝতে পারেন না। যেন বলছে, মৃত তিতুমীরকেও তোমাদের এত ভয় যে, আবার পুড়িয়ে মারতে চাইছ? পুড়িয়েও তিতুমীরকে তোমরা নিশ্চিহ্ন করতে পারবে না। যখন যেখানে অন্যায় হবে, যখন যেখানে অত্যাচার হবে, যখন যেখানে পরাধীনতা চেপে বসবে, তখন সেখানেই তিতুমীর ফিরে আসবে। ফিরে আসবে অন্যায়ের প্রতিবাদ জানাতে। ফিরে আসবে অত্যাচারের প্রতিরোধ করতে। ফিরে আসবে স্বাধীনতার পতাকা ওড়াতে। জীবিত তিতুমীরের দৃষ্টি সহ্য করতে পারলেও, মৃত তিতুমীরের দৃষ্টি সহ্য করতে পারেন না আলেকজান্ডার। সে অন্য দিকে তাকিয়ে চিৎকার করে ওঠে,
সেট ফায়ার !














Reviews
There are no reviews yet.